
ভূমিকা: অতীত ফিরে আসে… চিঠির মাধ্যমে
রুদ্রর জীবন যেন এক ধীরে বিস্তার হওয়া বিভীষিকার গল্প হয়ে উঠছে। কিছুদিন আগেই সে এক অদ্ভুত চিঠি পেয়েছিল, যেটি সময়ের অনেক আগের—১৩ই আগস্ট, ১৯৪৭-এর লেখা। ভাবছিল হয়তো হারিয়ে গেছে। কিন্তু…
মৃতের চিঠি ফিরে এল আবার!
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রুদ্র যখন আবার তার ডায়েরি খুলে, তখন সে অবাক হয়ে দেখে—চিঠিটা আবার ফিরে এসেছে। ঠিক আগের জায়গায়, আগের তারিখেই লেখা। কিন্তু এবার একটি নতুন লাইন যুক্ত:
> “রুদ্র, তুমি যদি সত্যিই আমাকে মুক্ত করতে চাও, তবে শোনো—ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁলেই দরজা খুলবে। আমি অপেক্ষা করছি। ফিরে এসো।”
চিঠির নিচে এবার রুদ্রর নাম! কে এই লেখক? কে তার এত পরিচিত?
ডায়েরির পাতায় রক্তাক্ত অতীত
চিঠির নিচে আরও কিছু নতুন লেখা উদয় হয়, যা আগে ছিল না
।> “আমার খুনিদের নাম জানি। ওরা বন্ধুর মুখোশ পরে ছিল। আমি যেদিন মারা যাই, সেদিন আমি কাউকে বিশ্বাস করিনি—আর সেই ভুলের খেসারত আজও দিচ্ছি।”
> “ঘরের সেই আয়নাটা… ওটাই ছিল শেষ দরজা। যেখান দিয়ে আমি বেরোতে পারিনি।
”এই লেখাগুলি ইঙ্গিত দেয় যে রুদ্রর সামনে আসতে চলেছে আরও ভয়ংকর কিছু।
আয়নার রহস্য ও অতিপ্রাকৃত সন্ধ্যা
রুদ্রর মনে পড়ে যায়, “অদ্বৈত ভিলা“-তে থাকা সেই পুরনো আয়নার কথা। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সে একজন ছায়ামূর্তিকে দেখেছিল, যার বাস্তবে অস্তিত্ব ছিল না।
এবার সে ঠিক করে ফেরার সিদ্ধান্ত। কিন্তু এবার একা নয়।
- প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন শুরু
- রুদ্র সঙ্গে নেয়—পুরনো নথি
- মোবাইল লাইট
- হ্যান্ড-হেল্ড রেকর্ডার
- এবং তার বন্ধু তৃণা, একজন প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর
তৃণা বলে
:> “যদি সত্যিই আত্মা কথা বলছে, তবে ওই আয়নার দিকেই ফিরে যেতে হবে। তুমি যদি ভয় পাও, সে তোমাকে পথ দেখাবে না। কিন্তু তুমি যদি জানতে চাও সত্যি কী হয়েছিল—আয়নার ভেতরেই ঢুকতে হবে।”
রুদ্র এবার ভয় পায় না। সে জানে, এই পথের শেষে অপেক্ষা করছে কিছু চূড়ান্ত সত্য।
পরবর্তী পর্বে কী ঘটবে?
অধ্যায় ৫-এ উন্মোচন হবে আয়নার ওপারে থাকা এক রহস্যময় জগতের—
> রাত ১২টায় আয়নার দরজার ওপাশে কী অপেক্ষা করছে?
অদ্বৈতের খুনিরা কি আজও জীবিত?
না কি তারাও বন্দি এক প্রেতলোকের ফাঁদে?
চোখ রাখুন পরবর্তী অধ্যায়ে—
অধ্যায় ১: চিঠিটা কেউ পাঠায়নি – সূচনা
“অধ্যায় ৫: আয়নার ওপারে মৃত্যু”
আপনার কি মনে হয় আয়নার ভেতর লুকিয়ে আছে হত্যার আসল রহস্য? নিচে কমেন্টে জানান আপনার মতামত এবং গল্পটি কেমন লাগল!