স্থান: কলকাতা | সময়: বর্ষাকাল | পাত্র: রুদ্র, এক উঠতি সাংবাদিক

অধ্যায় ১: পুরনো চিঠির গন্ধ: এক বর্ষার রাতে পাওয়া রহস্য
কলকাতার বর্ষার রাত। বৃষ্টির টুপটাপ শব্দে শহরের কোলাহল যেন কোথায় মিলিয়ে গেছে। রুদ্র, এক উঠতি সাংবাদিক, অফিস থেকে ফিরছিল নিউ আলিপুরের নিজের ছোট্ট ভাড়া ফ্ল্যাটে। ক্লান্ত চোখ, হাতে ঝোলা ব্যাগ, আর মাথায় ঘুরছে অফিসের অ্যাসাইনমেন্টের চাপ।
কিন্তু সেদিনের সন্ধ্যায় তার জীবনে ঘটতে চলেছিল এমন কিছু, যা কোনো রিপোর্ট বা খবরের কাগজ কখনও ছাপবে না।
বইপ্রেমী রুদ্র মাঝে মাঝে পুরনো বইয়ের দোকানে ঢুঁ মারে। সেইদিনেও শ্যামবাজার মোড়ে একটি অন্ধকার গলির ভেতরে থাকা এক পুরনো বইয়ের দোকানে ঢুকেছিল। দোকানটা যেন কোনো সময়েই ছিল না, কিন্তু আজ যেন হঠাৎই তার চোখে পড়ে। দোকানটার নাম ছিল—”অতীতের আলেখ্য”।

ভেতরে ঢুকে ধুলোতে ভর্তি বইয়ের স্তূপ ঘাঁটতে ঘাঁটতে সে একটা পাতলা ডায়েরি পায়। মোটা বাদামি কভার, ঝাঁঝালো স্যাঁতসেঁতে গন্ধ, আর শেষ পাতায় সযত্নে গুঁজে রাখা এক চিঠি।
চিঠিটা পড়তেই গা কাঁটা দিয়ে ওঠে—
> **”যদি কেউ এই চিঠি খুঁজে পান, জানবেন আমি আর বেঁচে নেই। কিন্তু আমার আত্মা আটকে আছে এই বাড়িতে—৫৭, শম্ভুনাথ পাড়া। দয়া করে আমাকে মুক্ত করুন। না হলে আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না।
– অদ্বৈত সেন
১৩ই আগস্ট, ১৯৪৭”**
রুদ্র প্রথমে ভেবেছিল এটা হয়তো স্রেফ এক ধরণের সাহিত্যিক কল্পনা। কিন্তু তার সাংবাদিক মন বলল—“গল্প হোক বা না হোক, খুঁজে না দেখলে বোঝা যাবে না।
https://youtu.be/_LaKh61Y9TU?si=Oajt5snm-XOKOLOb
”সেই রাতেই সে চিঠি আর ডায়েরি নিয়ে ফ্ল্যাটে ফিরে আসে। কিন্তু গভীর রাতে, যখন বাইরে ঝড়ো হাওয়া বইছে, হঠাৎই জানালার কাঁচে তিনবার টোকা পড়ে—টক টক টক।
সে বাইরে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পায় না। ঘরে ফিরে আসে।ডায়েরির পাশেই চিঠিটা ছিল, কিন্তু এবার সেটা নেই।
তারপর… সে দেয়ালে দেখল একটা শব্দ আঁকা আছে কুয়াশার মতো—“৫৭”
শেষ কথা
রুদ্র কি আসলেই একটি আত্মার বার্তা পেয়েছে? নাকি এইসব তার কল্পনা?
আর “৫৭, শম্ভুনাথ পাড়া”—এই ঠিকানার পেছনে লুকিয়ে আছে কী ইতিহাস?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে আমাদের সঙ্গে থাকুন, কারণ “চিঠিটা কেউ পাঠায়নি” কেবল একটি গল্প নয়—এ এক অতিপ্রাকৃত যাত্রার শুরু।