
ভূমিকা: থ্রিলার সিরিজের ধারাবাহিক উত্তেজনা
বাংলা হরর-থ্রিলার প্রেমীদের জন্য ‘অদৃশ্য শত্রু’ সিরিজ ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তারই তৃতীয় পর্ব “কালো হাতের ষড়যন্ত্র” পাঠকদের নিয়ে যায় এক ভয়ানক ষড়যন্ত্র ও অ্যাডভেঞ্চারের জগতে।
এই পর্বে আমাদের সাহসী তিন বন্ধুর সামনে আসে এমন কিছু সত্য, যা তাদের যুক্তিবোধ, সাহস ও বন্ধুত্বের ওপর বড় পরীক্ষা ফেলে।
**গল্প: অদৃশ্য শত্রু**
**চরিত্রসমূহ:**
. **আরিয়ান** – ষড়যন্ত্রের ছবি বুঝতে শুরু করেছে, কিন্তু এখনও পুরো পাজলের সমাধান হয়নি।
**পিয়াল** – ভয় কাটিয়ে সত্যিকারের গোয়েন্দায় পরিণত হচ্ছে!
**জারা** – এবার তার যুক্তিবাদী মনও হিমশিম খাচ্ছে, কারণ কিছু ঘটনা বিজ্ঞান দিয়েও ব্যাখ্যা করা যায় না…
রহস্যময় সতর্কবার্তা**
গত পর্বের শেষে পাওয়া নোটে লেখা ছিল: *”সাবধান! তোমাদের পিছনে লুকিয়ে আছে **কালো হাত**…”*
**আরিয়ান** বলল, *”এটা কে লিখেছে? আকাশ নাকি কেউ অন্য?”*
হঠাৎ **জারার ফোনে একটি অজানা নম্বর থেকে MMS আসে**—একটি **ছবি** যেখানে **তাদের তিনজনকে স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে**, আর পিছনে **একজন কালো হুড পরা লোক** দাঁড়িয়ে!
**পিয়াল** কাঁপতে কাঁপতে বলে, *”ওরা আমাদের ফলো করছে!”*
স্যার রবিনের বাড়িতে অনুসন্ধান**

তিন বন্ধু ও **আকাশ** মিলে সিদ্ধান্ত নেয় **স্যার রবিনের পরিত্যক্ত বাড়িতে** খোঁজাখুঁজি করতে। বাড়িটি **জঙ্গলে ঢাকা**, ভিতরে **স্যার রবিনের গবেষণাপত্র** ছড়ানো।
**জারা** একটি **লুকানো সেফ** খুঁজে পায়। তাতে একটি **পাসওয়ার্ড লক**:
প্রথম প্রাণীর নাম যার হৃদয় নেই।”*
পিয়াল** চিন্তা করে বলে, *”জellyfish! জেলিফিশের তো হার্ট নেই!”*
সেফ খুলতেই… **একটি শকিং ভিডিও ফুটেজ** বের হয়!

ভিডিও ফুটেজের রহস্য**
ভিডিওতে **স্যার রবিন** বলছেন:
*”আমি ‘নীল অমৃত’ ওষুধ বানিয়েছি যা ক্যান্সার সারে, কিন্তু ‘কালো হাত’ সংগঠন এটি চুরি করতে চায়… যদি মারা যাই, এই সিডি পুলিশকে দিও…”*
হঠাৎ **বাড়ির জানালা থেকে কাঁচ ভাঙার আওয়াজ**! **কালো হুড পরা তিনজন লোক** ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে!
**আকাশ** চিৎকার করে বলে, *”পিছনের দরজা দিয়ে পালাও! আমি ওদের ঠেকাব!”* —
পালাতে গিয়ে ফাঁদে**
তিন বন্ধু **বাড়ির পিছনের জঙ্গলে** দৌড়ায়। কিন্তু **একটি গর্তে পিয়াল পড়ে যায়**! নিচে সে **একটি সুড়ঙ্গ** খুঁজে পায়, যার গায়ে লেখা: *”নীল অমৃতের গোপন কারখানা →”*

সুড়ঙ্গের শেষে **একটি অন্ধকার ল্যাব**, যেখানে **নকল ‘নীল অমৃত’** বানানো হচ্ছে! **জারা** বুঝতে পারে, *”‘কালো হাত’ ওষুধ চুরি করে নকল বিক্রি করছে!*
মুখোমুখি যুদ্ধ**
ল্যাবে **কালো হাতের প্রধান**—একজন **ডাক্তার** (!) ধরা পড়ে।
সে হাসতে হাসতে বলে: *”বাচ্চারা এতদূর এসেছ? কিন্তু এখনই তোমাদের শেষ!”*
ঠিক তখন **আকাশ** এসে তাকে ধরে ফেলে! **পুলিশও আসে** (আকাশ গোপনে তাদের ডেকেছিল)।
**প্রমাণ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়**। —
**শেষ দৃশ্য: নতুন শত্রুর আগমন**
কিন্তু…
পুলিশ যখন কালো হাতের সদস্যদের নিয়ে যায়, **একটি গাড়ি থেকে **একজন রহস্যময় মহিলা** তিন বন্ধুর দিকে তাকিয়ে হাসে**। তার হাতে **একটি নীল রঙের ইনজেকশন**…
**[To be Continued…]** —
**শিক্ষা:**
✅**ষড়যন্ত্র কখনও ভূতের চেয়ে ভয়ঙ্কর**
✅ **মরণোত্তরও সত্যি প্রকাশ পায়**
✅ **সাহসী হওয়ার অর্থ হলো সঠিক কাজ করা**
**পরবর্তী পর্বের ইঙ্গিত:** *”কে সেই মহিলা? নীল ইনজেকশনের রহস্য কী?”*