
দ্বিতীয় পর্ব: “স্কুলের সাত নম্বর রুমের ভূত!” (horror thriller series)
গল্পের পটভূমি ও চরিত্রের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
“স্কুলের সাত নম্বর রুমের ভূত!” নামক হরর-থ্রিলার সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব আরও বেশি উত্তেজনা ও রহস্য নিয়ে হাজির। আগের পর্বের তিন সাহসী চরিত্র –
- **আরিয়ান** – এখনও নেতা, কিন্তু গতবারের অভিজ্ঞতা থেকে কিছুটা সতর্ক।
- **পিয়াল** – ভূতের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায় (!), নতুন পাওয়া সাহস নিয়ে।
- **জারা** – এবারও বিজ্ঞান দিয়ে সব ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে, কিন্তু কিছু জিনিস তার ধারণার বাইরে…
রহস্যময় নোট**
গত পর্বের শেষে তিন বন্ধু একটি **কাগজের টুকরো** পেয়েছিল যাতে লেখা:
*”নীলগঞ্জ স্কুলের সাত নম্বর রুমে কে থাকে রাতে? সাহস আছে তো দেখতে?”*
**জারা** বলে, *”এটা নিশ্চয়ই কারোর বাজে রসিকতা!”*
কিন্তু **পিয়াল** গম্ভীর হয়ে বলে, *”না… গতকাল রাতে আমি স্কুলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম, সাত নম্বর রুমের জানালায় **একটি লাল চোখ** দেখেছি!”*
**আরিয়ান** সিদ্ধান্ত নেয়, **”আজ রাতেই আমরা স্কুলে যাব!”**
রাত ১১টা। তিনজন দেয়াল টপকে ঢুকে পড়ে স্কুলে। সাত নম্বর রুম, যা আগে ছিল স্যার রবিনের ল্যাব, এখন বন্ধ ও ভয়ংকর ইতিহাসে আবৃত। দরজা আপনা-আপনি খুলে গেলে, তারা দেখে ভিতরে একটিমাত্র মোমবাতি জ্বলছে।

হঠাৎ—
**কন্ঠস্বর:** *”তোমরা কেন এখানে এসেছ?”*
**পিয়াল** চিৎকার করে ওঠে, *”ওই যে! স্যার রবিনের ভূত!”*
ভয়ঙ্কর কণ্ঠস্বর ও রহস্যময় ডায়েরি
টেবিলে তারা **একটি ডায়েরি** খুঁজে পায়।

তাতে **রাসায়নিক সূত্র** আর **একটি মানচিত্র** আঁকা: *”NH₃ + H₂O → ?
যদি উত্তর দাও, তবেই জানতে পারবে সত্যি!”*
**জারা** বলে, *”এটা তো সহজ! অ্যামোনিয়া আর পানি মিলে হয় অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড!”*
হঠাৎ
**বুকের আলমারি থেকে একটি বাক্স বেরিয়ে পড়ে!
** তাতে **স্যার রবিনের চশমা** আর **একটি রহস্যময় ফ্লাস্ক** থাকে।
ভূতের সত্যিকারের পরিচয়**

ফ্লাস্কের গায়ে লেখা: *”এই সূত্র কেউ চুরি করতে চেয়েছিল… সাবধান!”*
ঠিক তখন **ঘরের কোণ থেকে একটি ছায়া বেরিয়ে আসে**—কিন্তু সেটা কোনো ভূত নয়, **একজন জীবিত মানুষ!**
**সে পরিচয় দেয়,** *”আমি স্যার রবিনের ছাত্র ছিলাম। কেউ তাকে হত্যা করেছিল এই সূত্রের জন্য… আমি সত্যি খুঁজছি!”* —
ওষুধ কোম্পানির ষড়যন্ত্র ও আকাশের অনুসন্ধান
আকাশ জানায়, স্যার রবিন আবিষ্কার করেছিলেন এমন একটি ওষুধ যা গরিবদের জন্য ছিল। কিন্তু একটি ওষুধ কোম্পানি তা দখল করতে চেয়ে তাকে মেরে ফেলে।
তিন বন্ধুর চোখে তখন শুধুই বিস্ময় আর প্রতিজ্ঞা।
তিন বন্ধুর সিদ্ধান্ত – সত্যের পথে সহযাত্রী
আকাশকে সাহায্য করতে তারা সিদ্ধান্ত নেয়:”আমরা তোমার সঙ্গে আছি, সত্যি বের করতেই হবে!
“কিন্তু স্কুল থেকে বের হতেই তারা পায় নতুন একটি বার্তা:”
সাবধান! তোমাদের পিছনে লুকিয়ে আছে কালো হাত…”
নতুন হুমকি – “কালো হাত” কারা?
এই ইঙ্গিত বুঝিয়ে দেয়, মূল অপরাধীরা এখনও নজরে রেখেছে সবকিছু। সামনে অপেক্ষা করছে আরও বিপদ।
শিক্ষা ও বার্তা
ভূতের চেয়ে মানুষ বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে।
বিজ্ঞান সত্যি খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
ন্যায়ের জন্য লড়াই করা জরুরি।
আগামী পর্বের ইঙ্গিত
“কালো হাত” কারা? কী তাদের উদ্দেশ্য? আকাশ কি সত্যিই নির্দোষ? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে তৃতীয় পর্বে…
FAQs:>
১. স্যার রবিন কে ছিলেন?
স্যার রবিন ছিলেন একজন বিজ্ঞান শিক্ষক যিনি গরিবদের জন্য একটি ওষুধ আবিষ্কার করেছিলেন।
সাত নম্বর রুমে সত্যিই কি ভূত ছিল?
না, ভূতের মুখোশ পরে ছিল একজন মানুষ – আকাশ, যিনি স্যার রবিনের ছাত্র।
৩. NH₃ + H₂O সূত্রের মানে কী?
এই সূত্রে অ্যামোনিয়া ও পানির সংমিশ্রণে তৈরি হয় অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH₄OH)।
৪. “কালো হাত” কারা?এটি এখনও রহস্য।
সম্ভবত ওষুধ কোম্পানির কোনো গোপন সংগঠন।
৫. তিন বন্ধুর পরবর্তী পরিকল্পনা কী?
তারা আকাশকে সাহায্য করবে এবং স্যার রবিনের হত্যার সত্যি উন্মোচন করবে।
৬. পরবর্তী পর্ব কবে আসবে?
গল্পের তৃতীয় পর্ব খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে!
প্রথম পর্ব https://golpokunjo.in