All Categorized - ছোটগল্প - শিশু সাহিত্য

ভয়ংকর নীল ইনজেকশনের অভিশাপ! সিরিজের ৪র্থ পর্বে প্রকাশ পেল নতুন রহস্য

নীল ইনজেকশনের অভিশাপ! সিরিজের ৪র্থ পর্বের সম্পূর্ণ গল্প বিশ্লেষণ

নীল ইনজেকশনের অভিশাপ সিরিজের চতুর্থ পর্বে তিন কিশোর বন্ধু—আরিয়ান, পিয়াল ও জারা—মুখোমুখি হয় এক ভয়ংকর চক্রান্তের। এই পর্বে দেখা যায়, এক রহস্যময় মহিলা ও নীল রঙের ইনজেকশন কীভাবে একটি ছোট শহরের ভবিষ্যৎকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

শুরু হয় এক অজানা অসুস্থতা দিয়ে

এক রাতের রহস্যময় ঘটনার পরদিন সকালে পিয়াল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার চোখ নীল হয়ে যায় এবং তার জ্বর ওঠে। ডাক্তাররা বলেন, এটি নতুন ধরণের সংক্রমণ।

তবে জারা লক্ষ করে তার হাতে একটি সূক্ষ্ম ইনজেকশনের দাগ, যা ইঙ্গিত দেয়, সেই রহস্যময় মহিলা তাকে ইনজেকশন দিয়েছে।

পুরনো ডায়েরিতে খুঁজে পাওয়া গোপন তথ্য

তারা আবার পড়ে স্যার রবিনের ডায়েরি। তাতে লেখা:

  • > “নীল অমৃত একটি পরীক্ষামূলক রাসায়নিক পদার্থ, যা নীল আলোর সংস্পর্শে এলে মারাত্মক হয়ে ওঠে এবং মানুষের আচরণে প্রভাব ফেলে।”

আরিয়ান বিশ্বাস করে, সেই মহিলা একটি ভুল ফর্মুলা ব্যবহার করে এই বিপজ্জনক পদার্থ তৈরি করেছে।

রহস্যময় মহিলার পরিচয়—ড. রিমা চৌধুরী

তিন বন্ধু হ্যাকিং করে জানতে পারে, মহিলার নাম ড. রিমা চৌধুরী। তিনি কাজ করেন একটি গোপন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির জন্য।তার ল্যাবের অবস্থান পাওয়া যায় একটি পরিত্যক্ত হাসপাতালের ভেতর। তারা সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

ভয়ঙ্কর এক সত্যের মুখোমুখি

ল্যাবে গিয়ে তারা দেখে, ড. রিমা অসুস্থ রোগীদের শরীরে নীল ইনজেকশন প্রয়োগ করছে।

জারা আতঙ্কে বলে উঠে, “ওরা মানুষকে পরীক্ষার খরগোশ বানাচ্ছে!”তাদের উপস্থিতি ধরা পড়ে যায়, এবং ড. রিমা সক্রিয় করে নীল আলো—যা ইনজেকশনপ্রাপ্তদের উগ্র করে তোলে।

পালাতে গিয়ে এক অনন্য লড়াই

আরিয়ান দ্রুত ফায়ার অ্যালার্ম বাজিয়ে দেয়, এবং জারা ল্যাবের সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করে দেয়, যাতে নীল আলো নিভে যায়।এই সুযোগে তারা পালাতে সক্ষম হয়।

নতুন বিপদের ইঙ্গিত

তবে পালিয়েও তারা শান্তি পায় না। পিয়ালের হাত এখন নীল হয়ে গেছে—যার অর্থ, তার ভেতরেও সেই রাসায়নিক সক্রিয় হয়ে উঠছে।

অন্যদিকে, ড. রিমা ফোনে কাউকে বলে

,> “প্রস্তুত হও… পরবর্তী টার্গেট হলো পুরো নীলগঞ্জ!”

https://youtu.be/DO_j-i52suI?si=I8EGXLT3FRXzHjXp

গল্প থেকে যে শিক্ষা পাওয়া যায়

অন্ধ বিশ্বাস বিপজ্জনক

বিজ্ঞানের অপব্যবহার হতে পারে ভয়ঙ্কর

সাহসিকতা মানে হলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো

প্রশ্নোত্তর (FAQs)

১. পিয়ালের অবস্থা কেন খারাপ হচ্ছিল?

সে সম্ভবত সেই নীল ইনজেকশন আক্রান্ত হয়েছিল, যা তার শরীরে ধীরে ধীরে কাজ করছে।

২. নীল অমৃত কী ধরনের রাসায়নিক?

এটি একটি পরীক্ষামূলক রাসায়নিক, যা নীল আলোয় সক্রিয় হয়ে মানুষের আচরণ পরিবর্তন করতে পারে।

৩. ড. রিমার আসল উদ্দেশ্য কী ছিল?

তার উদ্দেশ্য ছিল এক ভয়ঙ্কর গবেষণা সম্পন্ন করা, যেখানে সাধারণ মানুষ ছিল পরীক্ষার বিষয়।

৪. সিরিজের পরবর্তী পর্বে কী ঘটতে পারে?

সম্ভবত পিয়ালের চিকিৎসা খোঁজা হবে, এবং ড. রিমার পরিকল্পনা থামাতে আরও বড় মিশনে নামবে তারা।

৫. জারা হ্যাকিং কিভাবে শিখেছে?

পূর্ববর্তী পর্বে উল্লেখ ছিল, জারা প্রযুক্তিতে দারুণ দক্ষ এবং সে নিজের মতো শিখেছে।

৬. নীলগঞ্জ শহর কী সত্যিই ঝুঁকিতে?

ড. রিমার পরিকল্পনা অনুযায়ী, হ্যাঁ—পুরো শহর হুমকির মুখে।

উপসংহার:

চতুর্থ পর্বের এই চূড়ান্ত দৃশ্য আমাদের জানিয়ে দেয়, বিপদ এখনও শেষ হয়নি। বরং এখনই শুরু।

পিয়াল কী সুস্থ হবে? আরিয়ান ও জারা কী নীলগঞ্জকে রক্ষা করতে পারবে?

এই রহস্যময় অভিযানের পরবর্তী অধ্যায় জানতে চোখ রাখুন—‘নীল ইনজেকশনের অভিশাপ – পর্ব ৫’ এ!

সিরিজের প্রথম পর্ব

Author

One comment on “ভয়ংকর নীল ইনজেকশনের অভিশাপ! সিরিজের ৪র্থ পর্বে প্রকাশ পেল নতুন রহস্য

Comments are closed.